প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর, ২০২৫
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরাইল।
মিশরে ট্রাম্পের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হওয়ার দিনে ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’—যা ইসরাইলের অধিকাংশ বন্দি পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে—এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা নোবেল কমিটিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে যাতে ট্রাম্পের নামকে শুক্রবারের পুরস্কার ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে ফোরামটি বলেছে, ‘এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সার্বিক পরিকল্পনাটি আলোচনার টেবিলে রয়েছে—যা অবশিষ্ট সব বন্দিকে মুক্ত করে এই ভয়াবহ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে। বহু মাস পর প্রথমবার আমরা আশাবাদী হয়েছি যে আমাদের দুঃস্বপ্নের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।’
তারা আরও লেখে, ‘আমরা নিশ্চিত যে শেষ বন্দিকে ঘরে ফেরানো, যুদ্ধের ইতি টানা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেবেন না’।
ফোরামটি জানায়, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই (ট্রাম্প) আমাদের অন্ধকার সময়ে আলো এনে দিয়েছেন। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জীবিত ও মৃত বহু বন্দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত এক বছরে বিশ্বজুড়ে শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখেননি। অনেকে শান্তি নিয়ে সুন্দরভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু তিনিই সেটি বাস্তবে অর্জন করেছেন। তাই আমরা দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাচ্ছি—প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হোক, কারণ তিনি শেষ বন্দি ঘরে না ফেরা পর্যন্ত বিশ্রাম নেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন’।
তবে ফোরামের পাঠানো চিঠিটি আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন হিসেবে গণ্য হবে না, কারণ এই সংগঠনটি নোবেল পুরস্কারের যোগ্য মনোনয়নদাতাদের তালিকায় নেই। মনোনয়ন দিতে পারেন জাতীয় সরকারগুলোর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পূর্বের পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।